শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
Online Edition

আওয়ামী লীগ তো দেশের মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে 

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদের উদ্যোগে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংবিধান সংস্কার ও নাগরিক ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ তো দেশের মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে। তারাই ভালো আছে। সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে। কী কারণে কষ্টে আছে এটা আমাদের পরিষ্কার করা দরকার। পাঁচ ভাগের একভাগ হলো পৃথিবীর এই মন্দার জন্যে মানুষ একটু কষ্টে আছে। চার ভাগ হলো এই সরকারের দুর্নীতির কারণে। দুর্নীতি এবং অদক্ষতার কারণে। এখন তো কথা বলার পরিবেশটা নেই। ভয়ভীতি, হামলা-মামলার হুমকি, হয়রানিসহ নানাভাবে নাজেহাল হওয়ায় মানুষের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কারণেও মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। 

গতকাল শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদের উদ্যোগে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংবিধান সংস্কার ও নাগরিক ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এইসব কথা বলেন। আইনজীবী অধিকার পরিষদের সহসমন্বয়ক এডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় এবং ব্যারিস্টার জীশান মহসীনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, গণপরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া, গণপরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, স্প্রুীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মহসীন রশীদ, সাবেক অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল এম কে রহমান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাড. হাসনাত কাইয়ুম, সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব, হাসান আল মামুন, গণপরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, মেজর (অব) আমীন আহমেদ আফসারী, ড. শোয়েব মাহমুদ, অ্যাড. এরশাদুল বারী খন্দকার প্রমুখ। 

গণঅধিকার পরিষদ এর আহবায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে জনগণের সংবিধান প্রয়োজন। 

আমরা জনগণের সংবিধান উপহার দিবো। আওয়ামী লীগ তো দেশের মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে। তারাই ভালো আছে। সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে। 

কী কারণে কষ্টে আছে এটা আমাদের পরিষ্কার করা দরকার। অর্থনীতিবিদ হিসেবে আমি আপনাদের বলতে চাই, পাঁচ ভাগের একভাগ হলো পৃথিবীর এই মন্দার জন্যে মানুষ একটু কষ্টে আছে। চার ভাগ হলো এই সরকারের দুর্নীতির কারণে। দুর্নীতি এবং অদক্ষতার কারণে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আসিফ নজরুল বলেন, প্রয়োজনে প্রাদেশিক সরকার গঠন করতে হবে এবং প্রত্যেক প্রদেশে হাইকোর্ট স্থাপন করতে হবে।  রাষ্ট্রবিজ্ঞানর অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, তরুণরাই পারবে একটি নতুন সংবিধান উপহার দিতে। 

গণঅধিকার পরিষদ-এর সদস্য সচিব নুরুলহক নুর বলেন, একদিকে বলছে জনগণের সভা সমাবেশ করার অধিকার থাকবে, আবার অন্যদিকে বলছে আইনের দ্বারা আরোপিত বিধিনিষেধ বলবৎ হবে। তখন এই সংবিধানই সাংঘর্ষিক অবস্থা তৈরি করছে। 

গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক বলেন, দেশে সত্য বলার সাহসী লোকের সংখ্যা কম, যে কারণে বড় ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে। সরকার পতনের জন্য গত ১৩ বছরে অন্ততপক্ষে ১৩০টি ঘটনা ছিল। সে ঘটনাগুলো বিরোধী দল কাজে লাগাতে পারেনি। জনগণকেও সংগঠিত করতে পারেনি। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি অবশ্যই বদলাবে বলে তিনি মনে করেন। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ অন্ধকার ঘরে কালো বিড়াল খোঁজার মতো বলেও মন্তব্য করেন নুরুল হক।

 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ